Golden Kiss Miss-1kg
Delivery Option
ঢাকায় ডেলিভারি খরচ | ৳ 60.00 |
ঢাকার বাইরের ডেলিভারি খরচ | ৳ 130.00 |
কিসমিসের
উপকারিতা (kismis ar
upokarita) কথা বলে শেষ করা
যাবে না। আয়রণের ঘাটতি
দূর করার পাশাপাশি রক্তে
লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস। তবে শুকনো কিসমিস
খাওয়ার বদলে ভিজিয়ে খেলে
উপকার অনেক বেশি।
কিসমিস
ভেজানো পানি রক্ত পরিষ্কার
করতে সহযোগিতা করে। দৈনিক কিসমিসের
পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি
থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাবেন কোনও ওষুধ ছাড়াই।
এছাড়াও কিসমিস হৃদয় ভালো রাখে।
সেই সাথে নিয়ন্ত্রণে রাখে
কোলেস্টেরল।
কিসমিসে
প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ
আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা সহজে রোগমুক্তির
কারণ। আর আছে প্রচুর
পরিমাণে আয়রণ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার।
আজকে
কিসমিসের উপকারিতা (kismis ar
upokarita) ও কিসমিস খাওয়ার নিয়ম (kismis khawar niom) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
kismis-ar-upokarita
কিসমিসের
অসাধারণ ১২ টি উপকারিতা
:
১। ওজন বৃদ্ধি : সব
ড্রায়েট ফ্রুট যেমন খেজুর কাজু
বাদাম ইত্যাদির মতই, কিসমিস সুস্থ
উপায়ে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা
করে। কারণ এতে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোজ ও পোটেনশিয়াল এনার্জিতে
ভরপুর এই কিসমিস।
বডি
বিল্ডার বা অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে
কিসমিস খেতেই বলা হয়, কারণ
তাদের প্রচুর এনার্জি লাগে বা ওজন
বাড়ানোর জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল
এড়িয়ে কিসমিস খেলে ওজন বৃদ্ধিতে
অনেক বেশি সহায়তা পাওয়া
যায়।
২। ক্যান্সার প্রতিরোধ : কিসমিসে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
থাকে, যা শরীরে ভেসে
বেড়ানো ফ্রি র্যাডিকল
গুলিকে লড়াই করে নিঃশেষ করে।
জানা গেছে যে, শরীরের
এই ফ্রি র্যাডিকল
গুলিই ক্যান্সার সেলের স্বতঃস্ফুর্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং মেটাস্টাসিসও
সাহায্য করে।
কিসমিস
নিজের খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরে ক্যাটেচিন এর মত শক্তিশালী
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্যান্সার
প্রতিরোধে সাহায্য করে বা যারা
এতে আক্রান্ত, তাদের শরীরে বৃদ্ধির পরিমাণ খানিকটা হলেও কমিয়ে দেয়।
৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ : কিছু পরীক্ষায় দেখা
গেছে যে, কিসমিস পোস্ট-প্রান্ডিয়াল ইন্সুলিন রেস্পন্সকে নামিয়ে দেয়, যার মানে
দাঁড়ায় যে, কিসমিস খেলে
লাঞ্চ বা ডিনারের পরে
শরীরে যে ইনসুলিনের হঠাৎ
বৃদ্ধি বা ঘাটতি দেখা
দেয়, তা প্রতিরোধ করতে
সহযোগিতা করে।
লেপটিন
এবং ঘ্রেলিন নামক ২টি হরমোনের
রিলিজেও কিসমিস সাহায্য করে, যেগুলি শরীরকে
সিগনাল দেয়, কখন খিদে
পেয়েছে বা কখন যথেষ্ট
পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাই
কিসমিস খেলে অত্যাধিক খাওয়া
রোধ করাও সম্ভব।
তবে
অধিক পরিমাণে কিসমিস (kismis) খেলে সমস্যা হতে
পারে, তাই অবশ্যই চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে খাবেন, বিশেষ
করে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা। কারণ
ফ্রুক্টোজ বা গ্লুকোজ ডায়াবেটিসের
রোগীর জন্য মারাত্মক কারণ
হতে পারে।
৪। মস্তিষ্কের জন্য : কিসমিসে থাকা বোরন মস্তিষ্কের
জন্য উপকারি। বোরন ধ্যান বৃদ্ধিতে
সহায়ক। ফলে কাজে খুব
বেশি মনোযোগ বাড়ে। কিসমিস বাচ্চাদের পড়াশোনাতেও মনোযোগী করে তুলতে পারে।
৫। সেক্সুয়াল সমস্যা প্রতিরোধ : কিসমিসকে বহুদিন আগে থেকেই লিবিডো
বর্ধনকারী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর্জিনিন
যা পাওয়া যায় কিসমিসে, তা
স্পার্মের চলাচলে সহায়তা করে, যেটি গর্ভধারণে
সাহায্য করে।
ভারতীয়
বিয়েতে বৌ ভাতের দিনে
বর-বধূকে গরম দুধে কিসমিস
এবং কেশর দিয়ে খাওয়ানোটা
প্রাচীন রীতি। যাদের যৌন সহনশীলতা কম,
তাদেরকেও দৈনিক কিসমিস খেতে পরামর্শ দেয়া
হয়।
৬। চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে : কিসমিস (kismis) চোখের জন্য আদর্শ খাবার।
কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। কিসমিসে রয়েছে
ভিটামিন-এ ও বিটা
ক্যারোটিন।
৭। দাঁতের যত্নে : অলিওনেলিক অ্যাসিড বলে ফাইটো-কেমিক্যাল
আছে যেটি দাঁতের ক্ষয়,
ক্যাভিটি ও দাঁতের ভঙ্গুরতা
থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
“স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান্স” ও “পরফিরোমনাস
জিঙ্গিভালিস”, দাঁতের ক্ষয়ের
জন্য দায়ী এই ২
টি ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি ঠেকাতে এই অ্যাসিডের জুড়ি
মেলা ভার। এছাড়াও কিসমিসে
প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকার জন্য এটি দাঁত
শক্ত করে এবং এনামেল
গড়তেও সাহায্য করে, যা সুস্থ
দাঁতের জন্য খুবই দরকারি।
৮। হাড়ের স্বাস্থ্য বর্ধন : কিসমিসে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম, যা
হাড় ও দাঁতের জন্য
খুবই প্রয়োজন। এছাড়াও বোরন নামক এক
মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টও কিসমিসে থাকে, যা সঠিকভাবে হাড়
গঠন হতে সাহায্য করে
এবং ক্যালসিয়ামকে তাড়াতাড়ি শুষে নিতে শরীরকে
সাহায্য করে।
মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট শরীরে খুবই অল্প পরিমাণে
দরকার বলেই মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট
হিসেবে পরিচিত, কিন্তু শরীরে এর উপস্থিতি গুরুত্ব
অসীম। তাই বোরন মেনোপজ
ঘটে যাওয়া নারীদের মধ্যে অস্টিয়ো-পোরসিস এবং হাড় ও
জয়েন্ট এর জন্য খুবই
উপকারী।
৯। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ
কমাতে সহযোগিতা করে। শরীরে থাকা
উচ্চমাত্রার সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ার প্রধান একটি কারণ। কিসমিস
শরীরের সোডিয়াম মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১০।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : কিসমিসে ভিটামিন এবং খনিজগুলির সাথে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল গুলির
মতো অন্যান্য যৌগগুলির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি
উপাদান রয়েছে।
আমাদের
সিস্টেমে ফ্রি র্যাডিক্যাল
গুলোর সাথে লড়াই করতে,
এগুলিকে স্থিতিশীল করতে এবং তাদের
শ্বেত-রক্তকণিকা সহ আমাদের কোষগুলিকে
অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণ হতে রোধ
করে, যা আমাদের ইমিউন
সিস্টেম গঠন করে।
১১।
এসিডিটি কমাতে : রক্তে অধিক মাত্রায় এসিডিটি
থাকলে, তাকে বলা হয়
এসিডোসিস। এসিডোসিসের কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ
এবং ক্যান্সার ইত্যাদি হতে পারে। কিশমিস
(kismis) রক্তের এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
১২।
ঘুম ভালো হয় : ঘুম
ভালো না হলে শারীরিক
অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে।
এক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে কিসমিস।
কিসমিসে
যে আয়রন রয়েছে তা
ভালো ঘুমে সাহায্য করে।
আমরা সবাই জানি, আয়রণ
এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ,
যা শুধুমাত্র হিমো-গ্লোবিনের উৎপাদন
বৃদ্ধি করে না, বরং
বিপাক ক্রিয়া উন্নতি ঘটায়।
কিসমিস
(kismis) মানসিক অবসাদ দূর করতে কী
ধরণের ভূমিকা পালন করে, সে
সম্পর্কে এখানে কোনও আলোচনা করা
হয়নি। তবে কিসমিস ভালো
ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং শরীর
ও মন মেজাজ দুটোকেই
শান্ত বা স্বাভাবিক রাখে।
kismis-khawar-niom
কিসমিস
খাওয়ার সঠিক নিয়ম:
কিসমিস
খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সারারাত
কিসমিস (kismis) পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
পরের
দিন সকালে সেটা খান।
ভেজানো কিসমিসে থাকে আয়রণ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়াও এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। হাই-ব্লাডপ্রেসারের সমস্যা থাকলেও এটি তা বশে রাখে। একইভাবে কিসমিস ভেজানো পানি শরীরের পক্ষে উপকারী।
আপনি ঢাকা মেট্রোপলিটন সিটির ভীতরে হলেঃ-
- ক্যাশ অন ডেলিভারি/ হোম ডেলিভারি।
- ডেলিভারি চা্জ ৬০ টাকা।
- পণ্যের টাকা ডেলিভারি ম্যানের কাছে প্রদান করবেন।
- অর্ডার কনফার্ম করার ৪৮ ঘণ্টার ভিতর ডেলিভারি পাবেন।
আপনি ঢাকা সিটির বাহীরে হলেঃ-
- কন্ডিশন বুকিং অন কুরিয়ার সার্ভিস এ নিতে হবে।
- কুরিয়ার সার্ভিস চা্জ ১২০ টাকা বিকাশ/ নাগাদ/ রকেট এ অগ্রিম প্রদান করতে হবে।
- কুরিয়ার চার্জ ১২০ টাকা আপ্রদান করার ৪৮ ঘন্টা পর কুরিয়ার হতে পণ্য গ্রহন করতে হবে এবং পণ্যের টাকা কুরিয়ার অফিসে প্রদান করতে হবে।